পরাগ মাঝি: নিজের ধনসম্পদ গরিবের মাঝে বিলিয়ে দেওয়া খুবই সম্মানজনক একটি কাজ। বিপুল সম্পদের মালিক হয়েও অনেকের মাঝে এ ধরনের মহানুভবতা দেখা যায় না। তবে, পৃথিবীতে এমন কিছু ধনকুবের ছিলেন যারা তাদের সর্বস্ব বিলিয়ে দিতেও কার্পণ্য করেননি। এমন কয়েকজন মহানুভবকে জানুন-
প্রাসাদ থেকে মাটির ঘরে: একটি গাড়ি দুর্ঘটনা জীবন বদলে দিয়েছিল ব্রিটিশ মিলিয়নিয়ার জন পেডলির। ২০০২ সালে মাত্রাতিরিক্ত মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছিলেন। ফলে এক ভয়াবহ দুর্ঘটনার শিকার হন তিনি। মারাত্মক আঘাত পেয়ে প্রায় ছয় দিন কোমায় ছিলেন। সুস্থ হওয়ার পর পুরোপুরি বদলে যায় পেডলির মন। এই মন তাকে প্রকৃত সুখের সন্ধান দেয়।
নিজের চেষ্টায় বিশাল অর্থবিত্তের মালিক হয়েছিলেন পেডলি। কিন্তু মদ এবং নারীর মাঝেই সুখ খুঁজে বেড়াতেন। তার অসংখ্য বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জন্য তিনি আলোচিত ছিলেন।
এক সাক্ষাৎকারে নিজের অতীত নিয়ে পেডলি বলেন, ‘আমার ছিল স্বার্থপরের জীবন। অপরাধ, অসৎ সঙ্গ, মাদকাসক্তি ছাড়াও বহু মানুষের জীবন ধ্বংস করে দিয়েছিলাম। এমনকি শেষ পর্যন্ত আমার নিজের জীবনটাকেও।’
পেডলি জানান, স্কুলজীবন থেকেই তার অপরাধ প্রবণতা শুরু হয়। সে সময়ই তার ধূমপান, মদ্যপান এবং বাবার পকেট থেকে টাকা চুরির হাতেখড়ি হয়। স্কুল ছাড়ার পর প্রতারণার দায়ে তাকে একবার জেলেও যেতে হয়। মাদকাসক্তি এমন এক পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে, শেষ পর্যন্ত স্ত্রী তাকে ছেড়ে যায়। কিন্তু এত কিছু সত্ত্বেও বিপুল অর্থ আয় করেছিলেন তিনি। ছিল বিলাসবহুল বাড়ি, রমরমা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে যাওয়ার পর মদ্যপান ছেড়ে দিয়ে উগান্ডার এতিম শিশুদের নিয়ে কাজ করা এক বন্ধুর সঙ্গে যোগ দেন পেডলি। ২০১০ সালে খামারসহ সমস্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এমনকি প্রাসাদের মতো বাড়িটিও বিক্রি করে দেন। উগান্ডায় একটি মাটির ঘরে বাস শুরু করেন এবং ওই এলাকার গরিব-দুঃখী মানুষের মধ্যে সমস্ত অর্থ ব্যয় করেন।
সন্তানদের কিছুই দেননি চীনা বিলিয়নিয়ার: ২০১০ সালে আবাসন এবং হোটেল ব্যবসায়ী ইউ পেংলিন তার অবশিষ্ট ৪৭০ মিলিয়ন ডলারও নিজের প্রতিষ্ঠিত দাতব্য সংস্থায় দান করে দেওয়ার ঘোষণা দেন। সব মিলিয়ে ওই সংস্থাটির মোট তহবিল দাঁড়ায় ১.২ বিলিয়ন ডলার। ইউ আরও ঘোষণা করেন, তিনি তার সন্তানদের জন্য একটি কানাকড়িও রাখবেন না। তিনি তার দেশের অন্য ধনিদেরও এমন কাজ করতে আহ্বান জানান।
তহবিলের সমস্ত অর্থ তদারকির জন্য তিনি এইচএসবিসি ব্যাংককে দায়িত্ব এবং নির্দেশনা দেন। নির্দেশনা অনুযায়ী, বিপুল পরিমাণ অর্থ কেউ কোথাও বিনিয়োগ করতে পারবে না এবং এই অর্থের কোনো উত্তরাধিকারীও থাকবে না। এক্ষেত্রে নির্ধারিত কয়েকটি খাতে মানব উন্নয়নের জন্য তহবিল খরচ করা হবে।
মানবহিতৈষী মনোভাব ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ইউ একসময় বলেছিলেন, শৈশবের অভিজ্ঞতাই তাকে এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করেছে। ক্ষুধার সঙ্গে লড়াই করে বড় হয়েছেন তিনি। শুধু বেঁচে থাকার জন্য মানুষের সংগ্রামকে তিনি খুব কাছ থেকে দেখেছেন। দুই ছেলের জন্য কোনো কিছু না রেখে যাওয়ার কারণও উল্লেখ করেছেন তিনি। তার মতে, সম্পদের প্রাচুর্য তার সন্তানদের নষ্ট করে দিতে পারে। তার স্থির বিশ্বাস নিঃস্ব অবস্থা থেকে ছেলেরা ঘুরে দাঁড়াবে। চীনের সবচেয়ে বড় দানশীল হিসেবে খ্যাত ইউ পেংলিন।
অনালোচিত দানশীল এক বিলিয়নিয়ার: বিলিয়নিয়ার বিল গেটস এবং ওয়ারেন বাফেটের দানশীলতার কথা কে না জানে। বিপুল পরিমাণ সম্পদ তারা বিভিন্ন দাতব্য সংস্থায় দান করছেন। সেই তুলনায় চাক ফিনির দানশীলতা সম্পর্কে মানুষ খুব কমই জানে। আইরিশ-আমেরিকান এই ধনকুবের তার সমস্ত সম্পদ দান করে যাচ্ছেন কোনো ঢাক-ঢোল না পিটিয়েই। গত ৩০ বছরে অন্তত ৮ বিলিয়ন ডলার দান করেছেন তিনি। গরিব দেশগুলোতে তার দানের টাকায় নানা উন্নয়ন কর্মকান্ড চলমান রয়েছে।
করমুক্ত পণ্যের ব্যবসা করে বিপুল অর্থবিত্তের মালিক হওয়া ফিনি একজন মিতব্যয়ী মানুষ হিসেবেই পরিচিত। এত সম্পদ থাকা সত্ত্বেও তিনি সাধারণ বাসে চলাচল করেন। কারণ তার নিজের কোনো গাড়ি নেই। এমনকি, নিজের বাড়ি নেই বলে ভাড়াবাড়িতে থাকেন। ফিনিকে অনেকেই দানশীলদের ‘জেমস বন্ড’ বলে ডাকেন। মৃত্যুর আগেই তিনি একেবারে শূন্য হয়ে যেতে চান। ব্যক্তি জীবনে দুটি বিয়ে করা ফিনির চার মেয়ে। নিজেদের যোগ্যতায় তারা এগিয়ে যাবেন এমনটিই আশা করেন ফিনি। জানা যায়, কোনো একটি ঘটনার সূত্র ধরে ফিনির বিপুল পরিমাণ সম্পদ বিলিয়ে দেওয়ার তথ্যটি ফাঁস হয়। তার এই দানশীলতার উদাহরণেই অনুপ্রাণিত হয়েছেন বিল গেটস এবং ওয়ারেন বাফেট।
পৃথিবীর সবচেয়ে সৌভাগ্যবান ব্যক্তি: বর্তমানে ৯০ বছর বয়সী ক্রোয়েশিয়ার সংগীত শিক্ষক ফ্রেনো সেলাককে বলা হয় পৃথিবীর সবচেয়ে সৌভাগ্যবান ব্যক্তি। কারণ তিনি অন্তত সাতবার মৃত্যুর হাত থেকে অলৌকিকভাবে বেঁচে গিয়েছিলেন। প্রথমবার বেঁচে গিয়েছিলেন ১৯৬২ সালে। সেবার একটি ট্রেনের যাত্রী ছিলেন তিনি। গভীর একটি খাদ পাড়ি দেওয়ার সময় ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়ে নদীতে পড়ে যায়। কেউ একজন অচেতন অবস্থায় ফ্রেনোকে নদী থেকে তুলে এনেছিল। ১৭ জন সহযাত্রী সে যাত্রায় ডুবে মরলেও ফ্রেনোর শুধু একটি হাত ভেঙে গিয়েছিল। পরের বছরই পড়ে গিয়েছিলেন একটি প্লেন থেকে। কিন্তু একটি খড়ের গাদার ওপর পড়ে প্রাণে বেঁচে যান। ১৯৬৬ সালে তাকে বহনকারী একটি বাস রাস্তা থেকে নদীতে গিয়ে পড়ে। ওই বাসের চারজন যাত্রী মারা গেলেও সামান্য কাটা-ছেঁড়ার ওপর দিয়ে বেঁচে গিয়েছিলেন ফ্রেনো। ১৯৭০ সালে চালনারত অবস্থায় তার গাড়িতে আগুন ধরে যায়। কিন্তু তেলের ট্যাংকটি বিস্ফোরণের ঠিক আগ মুহূর্তেই গাড়ির ভেতর থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন।
এভাবে আরও তিনবার অলৌকিকভাবে বেঁচেছেন ফ্রেনো। এমন বিরল অভিজ্ঞতার জন্য একজন সৌভাগ্যবান ব্যক্তি হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে খ্যাতি পেলেও তার সৌভাগ্যের আরও কিছু বাকি ছিল। ২০১০ সালে ৮১ বছর বয়সে ১ মিলিয়ন ডলারের লটারি জিতে যান তিনি। কিন্তু ততদিনে তিনি বুঝতে পেরেছিলেন, এই অর্থ তাকে কোনো সুখ এনে দিতে পারবে না।
বিজিত অর্থসহ প্রায় সমস্ত ধনসম্পদ তিনি তার আত্মীয় এবং বন্ধু-বান্ধবদের মধ্যে বিলিয়ে দিয়েছিলেন। অবশিষ্ট অর্থ নিয়ে জীবনের শেষ সময়টি উপভোগ করার জন্য ফিরে যান পেতরিঞ্জায়। এখানেই তার জন্ম এবং বেড়ে ওঠা। সাত বার বাঁচিয়ে দেওয়ার জন্য কৃতজ্ঞতাস্বরূপ অবশিষ্ট সব অর্থ দিয়ে তিনি ভার্জিন মেরির একটি ভাস্কর্য তৈরি করেছেন এখানেই।
রুশ ধনকুবেরের সন্ন্যাস জীবন: ইভগানি পুশেঙ্কোর কপাল খুলে গিয়েছিল ১৯৯০-এর দশকে। সদ্য ভেঙে যাওয়া সোভিয়েত ইউনিয়নের মানুষেরা সেই সময়টিতে নিজেদের স্বপ্নকে বাস্তবায়নের জন্য যথেষ্ট স্বাধীনতা উপভোগ করেন। এমন পরিস্থিতিতে নিজের শহর ভøাদিভস্টকে একটি কাপড়ের কারখানা দেন পুশেঙ্কো। এই ব্যবসা এতটাই সফলতার মুখ দেখেছিল যে, খুব শিগগিরই তার কারখানার সংখ্যা পঞ্চাশ ছাড়িয়ে যায়। কিন্তু বিপুল পরিমাণ অর্থ আয় করেও নিজেকে তিনি শূন্য অনুভব করেন। তখন পর্যন্ত ধর্মীয় কোনো ব্যপারে তার কোনো আগ্রহ ছিল না।
একদিন বন্ধুদের একটি ভদকা পার্টিতে যোগ দিয়ে অন্য এক রূপে আবির্ভূত হন পুশেঙ্কো। তিনি তার সবগুলো কারখানার চাবি বন্ধুদের বিলিয়ে দিয়ে পার্টি থেকে বেরিয়ে পড়েন। পরদিন হতভম্ব বন্ধুরা তার বাবা-মা’র কাছে গিয়ে জানতে পারেন, তিনি সন্ন্যাস জীবন বেছে নিয়েছেন এবং জেরুজালেমের উদ্দেশ্যে পদব্রজে হেঁটে যাওয়ার সংকল্প করেছেন। তিন বছর ধরে হেঁটে হেঁটে প্রায় ১৫ হাজার কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে তিনি তার গন্তব্যে পৌঁছেন। যাত্রাপথে নানা বাধা-বিপত্তি পাড়ি দিয়েছেন পুশেঙ্কো। কখনো কখনো তাকে বিরূপ আবহাওয়ার সঙ্গে লড়াই করতে হয়েছে। আবার কখনো সন্দেহের বশে তিনি আটকের শিকার হয়েছেন। কিন্তু এইসব কোনো কিছুই গন্তব্যে পৌঁছার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি।
দীর্ঘ তীর্থযাত্রা শেষে তিনি তার নাম বদলে অ্যাথেনাসিয়স রাখেন। পরে জেরুজালেম থেকে হেঁটে হেঁটে গ্রিসে চলে যান তিনি। সেখানে একটি আশ্রমে এখনো অবস্থান করছেন।
হলিউড পরিচালকের সাধারণ জীবন: হলিউডের চকমকে সময়, বিপুল অর্থ আর বিখ্যাত জীবন এসবের কোনো কিছুই সুখ দিতে পারেনি টম শেডিয়াককে। ‘এইস ভেনচারা : পেট ডিটেক্টর’ এবং ‘দ্য নাটি প্রফেসর’-এর মতো বেশ কয়েকটি সফল চলচ্চিত্র নির্মাণের পরও একসময় হঠাৎ শূন্যতা অনুভব করলেন শেডিয়াক। এই শূন্যতা আরও বেড়ে যায় ২০০৭ সালে যখন তিনি একটি সাইকেল দুর্ঘটনার শিকার হন। এক সাক্ষাৎকারে নিজের উপলব্ধির কথা জানিয়ে শেডিয়াক বলেছিলেন, সুখী জীবন যাপনের উপায় হলোÑনিজের সামর্থ্য অনুযায়ী জীবনযাপন করা এবং নিজের মানুষদের সঙ্গে তা ভাগাভাগি করে নেওয়া। এর কিছুদিন পরই ১৭ হাজার বর্গফুটের বিশাল বাড়ি, ব্যক্তিগত জেট বিমানসহ সমস্ত সম্পদ বিক্রি করে দেন শেডিয়াক। বর্তমানে মালিবুতে মাত্র ১ হাজার স্কয়ার ফুটের ছোট্ট একটি বাড়িতে অনাড়ম্বর জীবনযাপন করছেন। বেশিরভাগ অর্থই সাধারণ মানুষের মাঝে বিলিয়ে দিয়েছেন। বিভিন্ন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এভাবেই সুখের সন্ধান পেয়েছেন তিনি।
ছোট্ট একটি কক্ষে টেক্সাস ধনকুবেরের মৃত্যু: জর্জ ক্যারলের জন্ম ১৮৫৫ সালে এবং বেড়ে উঠেছেন যুক্তরাষ্ট্রের লুইজিয়ানায়। পরে তার পরিবারের সঙ্গে টেক্সাসের বিউমন্টে চলে আসেন। ১৮৬৮ সালে বিউমন্টে তার বাবা চেইন ব্যবসা শুরু করেন। ক্যারল তার বাবার সঙ্গে যোগ দেওয়ার পর শিগগিরই পারিবারিক ব্যবসার কর্তা হিসেবে আবির্ভূত হন। ১৮৯২ সালে তিনি একটি তেল উত্তোলন কোম্পানিতে বিনিয়োগ করেন এবং খুব দ্রুততার সঙ্গে বিপুল পরিমাণ ধনসম্পদের মালিক হয়ে ওঠেন। তিনি এটাও অনুভব করেছিলেন যে, তেলের দামের কারণেই শহরের মানুষদের খরচ বেড়ে গেছে।
শহুরে অবক্ষয় ঠেকানোর জন্য তিনি বেশ কয়েকবার নির্বাচনেও অংশ নেন। যদিও এক্ষেত্রে তিনি সফলতার মুখ দেখেননি। পরে একজন ব্যাপ্টিস্ট অনুশীলনকারী হিসেবে বিভিন্ন চার্চ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি দেদার অর্থ দান করতে শুরু করেন। তিনি একটি দাতব্য সংস্থাও স্থাপন করেন। এই সংস্থার মাধ্যমে জীবিত অবস্থায় নিজের সর্বস্ব বিলিয়ে দেন। ৮০ বছর বয়সে সংস্থাটির পাশেই একটি ভবনের ছোট্ট একটি কক্ষে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন নিঃস্ব ক্যারল।
মিলিয়নিয়ারের অর্থ এমনকি কিডনিও দান: জেল ক্রাভিনস্কির জন্ম আমেরিকার একটি ইহুদি পরিবারে। পেনসিলভানিয়ার আবাসন ব্যবসায় বিনিয়োগ করে তিনি বিপুল অর্থসম্পদের মালিক হন। কিন্তু এক সময় অনুভব করেন, ব্যাংকে ফুলেফেঁপে ওঠার চেয়ে তার ডলারের আরও মহৎ কোনো কাজ রয়েছে। ২০০১ সাল থেকে তিনি তার অর্থ এবং সম্পদ দান করতে শুরু করেন। বিভিন্ন দাতব্য সংস্থার মাধ্যমে প্রায় ৪৫ মিলিয়ন ডলার দান করেছেন তিনি। এমন দানশীলতার জন্য পরিবারের সদস্য এবং বন্ধুরা ভেবেছিলেন ক্রাভিনস্কি হয়তো অনিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়েছেন। কিন্তু তিনি তাদের স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে, টাকা কীভাবে আয় করতে হয় তা তিনি ভালো করেই জানেন এবং তার অর্থ তিনি নিজের মতো করেই বিলিয়ে যাবেন। প্রায় সর্বস্ব বিলিয়ে দেওয়ার পর এখনো ক্রাভিনস্কি মনে করেন, তিনি যথেষ্ট পরিমাণ দান করতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত তিনি তার একটি কিডনিও সম্পূর্ণ অপরিচিত একজন কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তিকে দান করে দিয়েছেন। এমন দানশীলতায় অতিষ্ঠ হয়ে ক্রাভিনস্কিকে ত্যাগ করার হুমকি দিয়েছিলেন তার স্ত্রী। পরে বিখ্যাত সংগীত শিল্পী পেট বোন ক্রাভিনস্কির স্ত্রীকে স্বামীর মহানুভবতার কথা বলে শান্ত করেছিলেন। ক্রাভিনস্কি এমনও ঘোষণা দেন যে, কারও প্রয়োজন হলে তার শরীরের যে কোনো অঙ্গ নিয়ে যেতে পারেন যে কোনো সময়।